আজকে আমরা জানবো – একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ২০২২, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা ২০২২, একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩, কলেজে ভর্তির আবেদন ২০২২, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন কবে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নতুন নিয়ম।
XI CLASS ADMISSION SYSTEM (SESSION 2022 – 2023)
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা রইল। তোমাদের পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে। তোমাদের ইতিমধ্যে রেজাল্টও পাবলিস্ট হয়ে গেছে। তোমরা কলেজে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছো এখন তোমাদের সামনে কাজ হচ্ছে কলেজের ভর্তির আবেদন করা।
একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করার নিয়ম ২০২২-২৩ পিডিএফ আকারে দেখতে ক্লিক করুন। এছাড়াও নিচের লেখাগুলোও পড়তে পারেন তা বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
আবেদনের ফি প্রদান পদ্ধতি: আবেদনের ফি প্রদান পদ্ধতি জানতে এই লিংক এ ক্লিক করুন।
ইন্টারনেটে আবেদনের পদ্ধতি:
(ক) নিম্নলিখিত নিয়মে আবেদন Submit করতে হবে।
১. বিকাশ/নগদ/রকেট/সোনালী ব্যাংক/উপায়/ট্যাপ/ওকে ওয়ালেট এর (নেট) আবেদন ফি ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ টাকা) জমা দেয়ার পর আবেদনকারীকে নির্ধারিত website-এ (www.xiclassadmission.gov.bd) যেয়ে “Apply Online” Button এ ক্লিক করতে হবে; এরপর প্রদর্শিত তথ্য ছকে এসএসসি/সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সন ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঠিকভাবে এন্ট্রি দিতে হবে। আবেদনকারীর দেয়া তথ্য সঠিক হলে তিনি তার ব্যক্তিগত তথ্য ও এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA দেখতে পাবেন।
২. এরপর শিক্ষার্থীর Contact Number (ফি প্রদানের সময় প্রদত্ত মোবাইল নম্বর) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোটা (নিম্নে বর্ণিত ধাপ ২.৩ অনুযায়ী) দিতে হবে।
৩. অতঃপর তাঁকে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রুপ, শিফট এবং ভার্সন Select করতে হবে। এভাবে শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০টি ও সর্বনিম্ন ৫টি কলেজ/মাদ্রাসা Select করতে পারবে। একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিফট/ভার্সন/গ্রুপে আবেদনন করা যাবে। এই ফরমে আবেদনকারী তাঁর সকল আবেদনের পছন্দক্রমও নির্ধারণ করতে পারবেন।
8. এরপর আবেদনকারী “Preview Application” Button এ ক্লিক করলে তার আবেদনকৃত কলেজসমূহের তথ্য ও পছন্দক্রম দেখতে পারবেন।
৫. Preview-এ দেখানো তথ্যসমূহ সঠিক থাকলে আবেদনকারী “Submit” Button এ ক্লিক করবেন।
৬. আবেদনটি সফলভাবে Submit করা হলে আবেদনকারী তাঁর প্রদত্ত Contact Number-এর মোবাইলে একটি নিশ্চিতকরণ SMS পাবেন এবং যাতে একটি সিকিউরিটি কোড (Security Code) থাকবে। এই Security Code টি গোপনীয়তা ও সতর্কতার সাথে সংরক্ষণ করতে হবে, যা পরবর্তীতে আবেদন সংশোধন ও ভর্তি সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করতে হবে।
৭. আবেদনকারী চাইলে তাঁর আবেদনসমূহের তথ্যাদিসহ উক্ত ফরমটি Download করে প্রিন্ট (Print) নিতে পারবেন।
(খ) উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী এসএসসি / সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সন ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঠিকভাবে এন্ট্রি দেয়ার পরও শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য ও এসএসসি পরীক্ষার GPA দেখতে না পেলে, তাঁকে আবেদন ফি ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ টাকা) জমা দেয়ার Transaction ID টি এন্ট্রি দিতে হবে এবং ফি প্রদানের জন্য তিনি যেই অপারেটর (বিকাশ/নগদ/রকেট/সোনালী ব্যাংক / উপায়/ ট্যাপ / ওকে ওয়ালেট) ব্যবহার করেছে তাকে Select করতে হবে। পরবর্তীতে ৩০ মিনিট পর ইন্টারনেটে আবেদন করার জন্য পূর্বে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
কোটা ক্ষেত্রে প্রযোজ্য:
(ক) শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২% শিক্ষা কোটা (EQ) সংরক্ষিত থাকবে। এই কোটার আওতায় ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রুপ, শিফট এবং ভার্সন Select করার সময় EQ কোটা select করতে হবে। যদি আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হয়। সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। উপর্যুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না। ভর্তির সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তাঁর একধাপ উপরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী যে মহানগর/বিভাগ/জেলায় কর্মরত থাকবেন তার সন্তান সে মহানগর / বিভাগ / জেলায় ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন। পরবর্তীতে কলেজ/মাদ্রাসা কর্তৃক যাচাইকরণ হবে বিধায় কোটার অপশন (Option) দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
(খ) মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য কোটায় (FQ) ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী তথ্য ছকের নির্দিষ্ট স্থানে FQ কোটা Select করবেন। যদি আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। উপর্যুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না। এই কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ইস্যুকৃত মূল সনদ পত্র থাকতে হবে এবং পরবর্তীতেপরবর্তীতে কলেজ/মাদ্রাসা কর্তৃক যাচাইকরণ হবে বিধায় কোটার অপশন (Option) দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
(গ) যে সকল প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কোটা (SQ) অনুমোদিত আছে- সে সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সন্তানগণ এই বিশেষ কোটার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই কোটার আওতায় ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রুপ, শিফট এবং ভার্সন Select করার সময় SQ কোটা select করতে হবে। উল্লেখ্য যে, আবেদন চলাকালীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজসমূহ ইন্টারনেটে বিশেষ কোটা আবেদনকারীদের আবেদন নিশ্চিত করবেন।
এ বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকলে আমাদের ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ দিতে পারেন এবং প্রতিনিয়ত আপডেট পেতে গুগল নিউজ ফলো করুন।